নাইভাস ফাউন্ডার এস্টেট বিরোধ: মাল্টি-বিলিয়ন এস্টেট পরিচালনার জন্য একটি ছেলের 13 বছরের লড়াই

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, নিউটন কাগিরা মুকুহা, নাইভাস সুপারমার্কেট চেইন প্রতিষ্ঠাতার অন্যতম সন্তান, বিশাল সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্য লড়াই করছেন।

২০১০ সালের ৬ মে বাবার মৃত্যুর পর থেকে এস্টেট নিয়ে বিরোধ শুরু হয়।

এরপর থেকে কাগিরার প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। সম্প্রতি, নাকুরুর একটি আদালত তার প্রয়াত পিতার এস্টেটের প্রশাসক হিসাবে নামকরণের জন্য একটি নাকুরুর আদালতে দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করেছে, পিটার মুকুহা কাগো।

কাগিরা তার মৃত ভাই সাইমন গাশওয়ের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন, যাকে একজন প্রশাসক হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছিল।

গাশওয়েকে 6 অক্টোবর, 2016-এ এস্টেটের প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি 26 আগস্ট, 2019-এ মারা যান।

কাগিরা 2022 সালে তার মামলা দায়ের করেছিলেন, যখন গ্রেস তার 2023 সালে দায়ের করেছিলেন। তার বোন, গ্রেস ওয়াম্বোই এবং ভাই, ডেভিড কিমানিও গাশওয়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।

বিচারপতি হেস্টন নায়াগা, আবেদনগুলির উপর রায় দেওয়ার সময়, স্বার্থের দ্বন্দ্ব উল্লেখ করে কাগিরার আবেদনটি খারিজ করে দেন।

বিচারক উল্লেখ করেছেন যে কাগিরা স্বীকার করেছেন যে প্রয়াত নির্বাহক গাশওয়ের বিরুদ্ধে আপিলের আদালতে তার বিচারাধীন মামলা রয়েছে এবং তাকে এস্টেটের প্রশাসক করা হলে আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলির কী হবে তা প্রশ্ন করেছিলেন।

“তাকে আপিলকারী এবং উত্তরদাতার জুতা পরা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হবে এবং আবেদনকারী ও উত্তরদাতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে। স্বার্থের সংঘাত হবে,” আদালত বলেছে।

তবে, গ্রেস এবং ডেভিডকে প্রশাসক হিসাবে নামকরণ করা হয়েছিল, আদালত উল্লেখ করেছে যে এস্টেটটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল।

আপত্তি

2012 সালে কাগিরা তার প্রয়াত ভাই (গশওয়ে) এর একটি আবেদনে আপত্তি জানিয়েছিলেন যে তিনি এস্টেট পরিচালনার জন্য অযোগ্য। সেই সময়ে তিনি চেয়েছিলেন যে আদালত তাদের প্রয়াত পিতার মালিকানাধীন NAIVAS LTD শেয়ারে হস্তক্ষেপ করতে গাশওয়েকে বাধা দিয়ে অস্থায়ী আদেশ জারি করুক।

তিনি বলেন, গাশওয়ে তাদের বাবার মালিকানাধীন শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাগিরা বলেছিলেন যে গাশওয়ে এস্টেট পরিচালনার জন্য অযোগ্য ছিলেন কারণ তিনি জালিয়াতি করে যোগ করেছিলেন যে তিনি 1 সালে বিভিন্ন তারিখে 2009 মিলিয়ন শেয়ার নিয়েছিলেন।

তিনি যোগ করেন যে 30 এপ্রিল, 2009-এ, গাশওয়ে এস্টেট থেকে আরও 2 মিলিয়ন শাওন নেন এবং 14 জুলাই, 2009-এ তিনি তাকে (কাগিরা0) এস্টেট থেকে একটি বীমা কোম্পানির জন্য 355,765 টাকার একটি ব্যাংকারের চেক কিনতে বাধ্য করেন।

কাগিরা আরও বলেছে যে 2009 সালের আগস্টে, গাশওয়ে এস্টেট থেকে আরও 2 মিলিয়ন টাকা নিয়েছিল এবং সে 100,000 টাকার নেট মূল্য প্রকাশ করেছিল, তবুও সে জানত যে এস্টেটটির মূল্য 15,000,000 টাকার বেশি।

তিনি আদালতকে বলেছিলেন যে তাদের প্রয়াত পিতা 1989 সালে একটি পারিবারিক সভা এবং 1990 সালে আরেকটি সভা আহ্বান করেছিলেন, যেখানে তহবিল অনুদান দেওয়া হয়েছিল, যার সাহায্যে Rongai সেল্ফ-সার্ভিস স্টোর লিমিটেড ধীরে ধীরে এলবার্গন এবং নাইভাশাতে অন্যান্য শাখা খুলতে শুরু করে।

কাগিরা জানান, তিনি রোঙ্গাই শাখার দায়িত্বে ছিলেন এবং এলবার্গনে শাখার দায়িত্বে ছিলেন গাশওয়ে।

তিনি জানান, তিনি ২০,০০০ টাকা, তাদের প্রয়াত পিতা ৩০,০০০ টাকা, তার বোন গ্রেস ২৫,০০০ টাকা, লিনেট ওয়াইরিমু মুকুহা ১৫০০০ টাকা এবং ডেভিড কিমানি ১০০০০ টাকা দিয়েছেন।

আধিপত্যের যুদ্ধ

তখন কাগিরা বলেছিলেন যে তিনি নাইভাস লিমিটেডের একজন শেয়ারহোল্ডার এবং তার প্রয়াত পিতার সম্পত্তির একজন সুবিধাভোগী, এবং বড় ছেলে হিসাবে বাদ দেওয়া যাবে না, কারণ এটি কিকুইউ সংস্কৃতির বিপরীত হবে।

তিনি বলেন, প্রয়াত গাশওয়ে এবং নাইভাসের বোর্ড তাকে জড়িত না করে দক্ষিণ আফ্রিকার MASSMART-এর কাছে Naivas Limited-এর শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি।

প্রয়াত গাশওয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় স্বীকার করেছেন যে তাদের বাবার NAIVAS LTD-এ 10,000 সাধারণ শেয়ার বা মূলধনের 20 শতাংশ ছিল এবং কোন শেয়ারগুলি তার ইচ্ছার দ্বারা বিতরণ করা হবে।

তিনি বলেছিলেন যে তিনি 4 শতাংশ শেয়ার পাবেন, আর ডেভিড 4 শতাংশ পাবেন। গ্রেস এবং লিনেট ওয়াইরিমু প্রত্যেকে 6 শতাংশ পেতে হয়েছিল। নাইভাস লিমিটেডের শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা ছিল এমন দাবি তিনি নাকচ করে দেন।

বিচারক আনিয়ারা ইমুকুলে 31 অক্টোবর, 2014-এ দেওয়া এক রায়ে রায় দেন যে কাগিরা নাইভাস লিমিটেডের সদস্য নয়। যদিও তার পিতা মে 2010 সালে তার মৃত্যুর সময় কোম্পানির একজন সদস্য বা শেয়ারহোল্ডার ছিলেন এবং তার 10,000 শেয়ার যদি তার মৃত্যুর আগে বিতরণ না করা হয় তবে তার সম্পত্তির অংশ হয়ে ওঠে এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ক্ষেত্রে সমানভাবে তার সকলের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তার থেকে বেঁচে থাকা শিশুরা।

প্রতিভার দৃষ্টান্ত (ম্যাথু 25:14-30)

কাগিরাকে ধনী ব্যক্তির সিনপটিক গসপেলগুলির দৃষ্টান্তের সাথে তুলনা করা হয়েছিল, যিনি দীর্ঘ যাত্রা শুরু করার সময় তার তিনজন স্টুয়ার্ডকে ডেকেছিলেন এবং তাদের প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে অর্থ প্রদান করেছিলেন, সন্দেহ নেই।

“আমার দৃষ্টিতে, এবং রেকর্ডে থাকা প্রমাণের সামগ্রিকতা অনুসারে, পারিবারিক ব্যবসাটি মূলত পরিবারের সদস্যদের যৌথ আর্থিক প্রচেষ্টা বা অবদান দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল (কাগিরা অনুসারে গাশওয়ে ব্যতীত), এবং রংগাই সেলফের শৈলী বা নামে পরিচালিত বা পরিচালিত হয়েছিল। -সার্ভিস স্টোরস লিমিটেড, রোংগাই, এলবার্গন এবং নাইভাশাতে শাখা সহ 31শে অক্টোবর 1999 তারিখে রেজোলিউশনের পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে পারিবারিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়,” বিচারক বলেছেন।

বিচারক এমুকুলে উল্লেখ করেন, কাগিরাকে একটি বাড়িসহ রোঙ্গাইতে ব্যবসা দেওয়া হয়। গাশওয়ে এবং তার বোনকে এলবার্গনে একটি বাড়ি এবং একটি ব্যবসা দেওয়া হয়েছিল এবং ডেভিড কিমানি মুকুহা এবং লিনেট ওয়াইরিমুকে নাইভাশাতে ব্যবসা দেওয়া হয়েছিল।

"গাশওয়ে এবং তার ভাই ডেভিড কিমানি মুকুহা, এবং তাদের বোন লিনেট ওয়াইরিমু এবং গ্রেস ওয়াম্বোই মুকুহা, ম্যাথিউর দৃষ্টান্তে দুই বিশ্বস্ত স্টুয়ার্ডের মতো, যারা তাদের মাস্টারের দেওয়া অর্থের পরিমাণ ভালভাবে বিনিয়োগ করেছিলেন এবং তার লাভ দ্বিগুণ করেছিলেন এবং তার ভ্রমণ থেকে ফিরে আসার পর তাদের নিয়োগকর্তা বা মাস্টার দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল এবং তাদের তার উদ্যোগের অংশ বা সদস্য বানিয়েছিল,” বিচারক এমুকুলের রায়টি আংশিকভাবে পড়ে।

কাগিরা তার উত্তরাধিকার নিয়ে কি করলো?

রায়ে আরও বলা হয়েছে: “অন্যদিকে আপত্তিকারী তৃতীয় দাসের মতো যাকে তার অর্থের ভার দেওয়া হয়েছিল, একটি গর্ত খুঁড়ে এবং তার মালিকের ফিরে না আসা পর্যন্ত সেখানে রেখেছিল এবং তাকে বলেছিল যে সে বিনিয়োগ করতে কতটা ভয় পেয়েছে। তার টাকা যাতে নষ্ট না হয়, বিশেষ করে জেনে যে মাস্টার যেখানে বীজ বপন করেন না বা রোপণ করেন না সেখানে ফসল কাটেন এবং যেখানে তিনি বীজ ছিটিয়ে দেননি সেখানে ফসল সংগ্রহ করেন।

বিচারক এমুকুলে বলেন, কাগিরাকে তার পিতা তার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ব্যবসায়িক দোকান এবং একটি বাড়ি দিয়েছিলেন এবং এটি দিয়ে তিনি কী করেছিলেন তা তিনি জানেন।

“তিনি হয়তো এটা চালাতে পারেন. তা সত্ত্বেও, তিনি অবিশ্বস্ত বাইবেলের দাসের মতন, দাঁত ঘষতে ও ঘষতে বাদ পড়েনি। নিঃসন্দেহে আবেদনকারী এবং NAIVAS LTD-এর অন্যান্য সদস্যদের সম্মতি নিয়ে অবজেক্টরকে নাইরোবির কেওল এস্টেটে "গ্রিনমার্ট" নামে আরেকটি স্টোর সেট আপ করতে সাহায্য করেছে," রায়টি পড়ে।

বিচারক বলেন, NAIVAS LTD-এ কাগিরার কোনো স্বার্থ, আইনি বা ন্যায়সঙ্গত নেই।

NAIVAS LTD-এ তাদের বাবার 10,000 শেয়ারের প্রতি কাগিরার আগ্রহ, বিচারক বলেছিলেন যে গাশওয়ে এবং প্রয়াত পিটার মুকুহা কাগোর অন্যান্য সন্তানদের সাথে সমতুল্য ছিল, এবং তারপরও, শুধুমাত্র অনাস্থার ভিত্তিতে এবং তার আবেদন খারিজ করে দেন।

মামলাটি আপিল আদালতে বিচারাধীন।

শেষ…